আপিল শুনানি নিষ্পত্তির আগে চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংবাদ ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, আপিল শুনানির আগে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে এ কথাটি সঠিক না। তাঁদের আপিল শুনানি হয়েছে, জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানিও হয়েছে। জেল আপিল শুনানির পরে তাঁদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকারও দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাঁদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিল করেছিলেন তারা।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্ট ডিভিশনে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। তারপর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, জেল আপিল শুনানির সময় কোনো আইনজীবী থাকে না। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আপিলকারীদের আবেদন বিচারপতিগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতিগণ শুনানি করে নিষ্পত্তি করেন। মামলার প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল হয়নি।