বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে দেওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্যের (এমইপি) চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউরোপে থাকা ৩০০ বাংলাদেশি। ‘বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ইন ইউরোপ’-এর ব্যানারে জোসেফ বোরেলকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ছয় এমইপি ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে ওই চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বাংলাদেশিরা বলেছেন, ছয় এমইপি তাঁদের চিঠিতে বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা প্রকারান্তরে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তাঁদের ভুল ও অসত্য তথ্যের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম শুরু হয়। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় সামরিক বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের নির্যাতন, অপহরণ ও হত্যার ধারা অব্যাহত রেখেছিল।
চিঠিদাতারা বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কয়েকটি আসনে জয়লাভও করে। অন্য সব রাজনৈতিক দলও নির্বাচনে অংশ নেয়। ওই নির্বাচনে ‘মধ্যরাতের ভোটের’ অভিযোগটি গুজব, এটি কখনও প্রমাণিত হয়নি।
তাঁরা বলেন, ছয় এমইপির উচিত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির কী অবস্থা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানা।