গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। তবে যে হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, আদায় করা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ইচ্ছেমতো বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও তা দেখার জন্য যেন কেউই নেই।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর রোববার পরিবহনের ভাড়াও সমন্বয় করা হয়। বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের প্রথম দিন সোমবার সারাদেশে ভাড়া নিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের দিনভর হাতাহাতি, বাগবিতণ্ডা লেগেই ছিল। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের অন্ত নেই।
চট্টগ্রাম নগরীসহ সারাদেশে সর্বনিম্ন বাস ভাড়া ৫ টাকা ছিল। এখন তা এক লাফে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বাসে উঠলেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। শুধু বাস নয়, অটোটেম্পু ও হিউমান হলারগুলোতেও একইভাবে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে ষোলশহর দুই নম্বর গেট পর্যন্ত বাস-মিনিবাস ও হিউম্যান হলারগুলো আগে ৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করলেও সকাল থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত বাসে আগে ভাড়া নেওয়া হতো ২৫ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা।
নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) পর্যন্ত বাস ভাড়া নেওয়া হতো ৭ থেকে ৮ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ১৪ টাকা। এই রুটে চলাচল করেন শহীদুল আলম নামে একজন দোকান শ্রমিক। বহদ্দারহাট এলাকায় সকালে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শাহ আমানত সেতু থেকে আমি প্রতিদিন বাসে ৭ টাকা ভাড়ায় বহদ্দারহাট আসি। কিন্তু এখন সেই ভাড়া এক লাফে দ্বিগুণ করে ফেলা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা এক প্রকার জোর করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক যাত্রী বলেন, ‘সরকার গাড়ির ভাড়া বাড়িয়েই দায় সেরেছে। রাস্তায় কী অবস্থা তা দেখছে না। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘তেলের মূল্য বাড়ায় সরকার গণপরিবহনেরও নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। আমরা পরিবহন শ্রমিক তথা গণপরিবহনের চালক-হেলপারদের বলে দিয়েছি যেন সেই অনুযায়ী ভাড়া আদায় করা হয়। ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভাড়া বাড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে চালক-হেলপারদের কিছু ঝামেলা হচ্ছে। আমরা শ্রমিকদের বলেছি যেন ভালো আচরণের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা হয়।’