1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

ইভ্যালির দেনা হাজার কোটি টাকা, ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২০৫ ০০০

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে দেনার পরিমাণ প্রায় হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে বলে র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল জানিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইভ্যালির প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি টাকা আটকে আছে, যেগুলো গ্রাহকের টাকা।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। প্রতিষ্ঠানটির দেনার বিষয়ে রাসেল কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি উল্লেখ করে এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘কোম্পানিটির আরও বহু দেনার কথা জানা গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের প্রায় হাজার কোটি টাকা দেনার কথা জানিয়েছেন।’

ইভ্যালি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একটি লোকসানি কোম্পানি উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়িক লাভ রাসেল করতে পারেননি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই তিনি তার যাবতীয় ব্যয়, বেতন, নিজস্ব খরচ নির্বাহ করতেন। ক্রমে ক্রমে তার দেনা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন পদাধিকারবলে ইভ্যালি থেকে মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন বলেও জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা। এছাড়া তারা কোম্পানির টাকায় অডি ও রেঞ্জ রোভার দুটি দামি গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেন।

নতুন গ্রাহকদের উপর দায় চাপিয়ে পুরাতন গ্রাহকদের আংশিক অর্থ ফেরত অথবা পণ্য ফেরত দিতেন ইভ্যালি। দায় ট্রান্সফারের দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে গ্রাহক যত তৈরি হয় দায় তত বাড়ে।

দায়ের পরিমাণ বাড়ায় এক পর্যায়ে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করছিলেন ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল উল্লেখ্য করে, র‌্যাব জানায়, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ই-কমার্স ব্যবসা সংক্রান্ত যে নীতিমালা করা হয়েছে তার আলোকে ব্যবসা পরিচালনা কিংবা গ্রাহকদের দেনা পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।

গ্রেপ্তার রাসেল জেনেশুনেই নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছেন বলে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি। আল মঈন বলেন, ‘বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে লোভনীয় অফারের আলোকে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করে।’

প্রতিষ্ঠানটিতে একপর্যায়ে প্রায় দুই হাজার ব্যবস্থাপনা স্টাফ ও এক হাজার অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ ছিল, যা ব্যবসায়িক অবনতিতে বর্তমানে যথাক্রমে স্টাফ এক হাজার ৩০০ জন এবং অস্থায়ী পদে প্রায় ৫০০ জন কর্মচারীতে এসে দাঁড়িয়েছে। কর্মচারীদের একপর্যায়ে মোট মাসিক বেতন বাবদ দেওয়া হতো প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, যা বর্তমানে দেড় কোটিতে দাড়িয়েছে বলে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে র‍্যাব।

এরপর গুলশান থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আজ শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হলে আদালত রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony