হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড দাবি করেছে, রোববার সকাল থেকে ইয়াসিন-১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তারা ছয়টি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে এবং বেশ কয়েকজন সৈন্যকে হত্যা করেছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে ধারাবাহিক বিবৃতিতে ব্রিগেডটি জানায়, তাদের যোদ্ধারা স্থানীয়ভাবে তৈরি ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে। এ ছাড়া তাল আল-হাওয়াতে (গাজা শহরের দক্ষিণে) দুটি, বেইত হানুন (উত্তর গাজা উপত্যকায়) আরও তিনটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে বলেও দাবি করে সংগঠনটি।
তারা আরও জানায়, ‘আজ সকালে ও গত রাতে গাজার উত্তর-পশ্চিমে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আল-ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়। যোদ্ধারা নিশ্চিত করেছে যে, তারা বেশ কয়েকজন সৈন্যকে কাছ থেকে হত্যা করেছে।
শনিবার, ব্রিগেডের এক মুখপাত্র রেকর্ড করা বক্তৃতায় বলেছেন, ফিলিস্তিনি বাহিনী গত ৪৮ ঘণ্টায় ২৪টি সামরিক যান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে।
অন্যদিকে, স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় তাদের ৩০ সেনা নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় হামাস শাসিত গাজার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ বলেছেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন হাসপাতালের চারপাশে তীব্র বোমা হামলা হচ্ছে। বিশেষ করে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার আশপাশে ভারী বোমা হামলা হয়েছে।
এর আগে রোববার দিনের শুরুতে গাজা শহরের আল কুদস হাসপাতালের পাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয় এবং হামলায় হাসপাতাল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করে আসছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ব্যবহার করে আসছে হামাস। যদিও ইসরায়েলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।