রাজধানীর উত্তরা-আজমপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন।
নিহতের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন আইইউবিএটির (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর (২৫)। তাঁর বাবার নাম সামসুজ্জামান এবং মায়ের নাম বীথি আক্তার।
তানভীরের খালা নার্গিস বলেন , ‘আমাদের ছেলের লাশ রাজউক কলেজে আছে। আমরা সেখানে যাচ্ছি।’
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা চলে যাও। আমরা চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক।’
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে একজন মারা গেছে। ৫০-৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।’
এ বিষয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুমায়ুন কবির (শয্যা নম্বর-৫০৩) এক ব্যক্তি বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চারজনের লাশ দেখতে পেয়েছি। আরও অনেকে আহত অবস্থায় আছে।’
উত্তরার এই দুই হাসপাতালের কোনোটিতেই সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।