1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

ওসি একাই ৩ বার ধর্ষণ করেছেন, তারপর এসআই ও অন্যরা!

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
  • ১৯৩ ০০০

গৃহ’বধূকে ধরে নিয়ে থানায় আটকে ওসি ওসমান গনি পাঠান একাই পর’পর তিনবার ধর্ষণ করেছেন। পরে এসআই ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য’দের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। এসময় ধর্ষকরা প্রত্যেকেই জন্ম’নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেন।

 

খুলনার জি’আরপি থানায় গত ২ আগস্ট রাতের এ ঘটনায় শুক্র’বার রাতে দায়ের হওয়া মামলায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন ভুক্ত’ভোগী নিজেই। একই’সঙ্গে সেদিন রাতে থানায় যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তা মামলার এজা’হারে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন ওই গৃহবধূ।

 

এদিকে, চাঞ্চল্য’কর এ গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পরও গৃহ’বধূর পরিবারের সদস্যদের একের পর এক হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক’রা। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আসা’মিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

 

৯ আগস্ট রাতে থানায় দায়ের হওয়া মাম’লায় ধর্ষিত গৃহবধূ উল্লেখ করেছেন, আটকের পর ডিউটি অফি’সারের (এসআই) সহায়তায় আমার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালান ওসি ওসমান গনি পাঠান। ঘটনার দিন রাত দেড়’টার দিকে আমাকে অপর একটি কক্ষে নিয়ে যান ডিউ’টি অফিসার। ওসি ওই কক্ষে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আট’কে দেন। এরপর মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে পর’পর তিনবার আমাকে ধর্ষণ করেন ওসি।

 

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ষণের সময় জন্ম’নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেন ওসি। ওসির পর আমাকে ধর্ষণ করেন মুখে দাগওয়ালা ডিউ’টি অফিসার। এরপর বাকি তিন’জন পুলিশ সদস্য আমাকে ধর্ষণ করেন। তারা সবাই ধর্ষণের সময় জন্ম’নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। ধর্ষণের সময় আমাকে মার’পিটও করা হয়।

 

আলোচিত এ মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী আরও উল্লেখ করেন, পরদিন শনিবার আমার বিরুদ্ধে পাঁচ বোতল ফেন’সিডিল’সহ মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত আমাকে কারা’গারে পাঠায়। পরে আইন’জীবীর মাধ্যমে রোববার আমাকে আদালতে আনা হয়। তখন আদালতে বিচার’কের সামনে নেয়ার পর জি’আরপি থানায় গণধর্ষণের বর্ণনা দেই আমি। আদালতের বিচারক বক্তব্য শুনে আমার ডাক্তারি পরীক্ষা’র নির্দেশ দেন। সোমবার দুপুরে আমার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার জন্য আ’দালত থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়ার পর শুক্র’বার আমার মামলা নেয় পুলিশ।

 

এদিকে এরই’মধ্যে এ গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত সোম’বার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে সাত’দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশা’পাশি পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটিও এ ঘটনা’টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

 

ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গঠন করে দেয়া তদন্ত কমিটি’র প্রধান এসপি সেহেলা পারভীন ওই থানার পুলিশ সদস্য ও ধর্ষ’ণের শিকার গৃহবধূ এবং তার পরিবা’রের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে বিষয়ে সংবাদ’মাধ্যমকে এখনও কিছুই না জানালেও ‘তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে’ বলে জানি’য়েছে তদন্ত কমিটি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony