টঙ্গী (গাজীপুর)প্রতিনিধি
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিকনেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গাজীপুরের হায়দারাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টারের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ির প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণসভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আতাউল্লা মন্ডল। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলালীগ সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন অর্জন ও কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন ।পরবর্তীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলীয় এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ২০ বছরেও খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মী, স্বজন ও এলাকাবাসী। তারা আদালতের দেয়া ফাঁসির রায় অবিলম্বে কার্যকর দেখতে চান।