টাঙ্গাইল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এসবের বাইরে তার আর কোনো সম্পদ আছে কি-না তা জানতে চাওয়া হবে।’ এ ছাড়া অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা তিনি।
সাব রেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদারের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দি এলাকায়। তিনি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), টাঙ্গাইল।
তথ্যমতে-নূরুল আমিন তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ এক হাজার ১১১ টাকা, স্ত্রী নূরুন্নাহারের ১০টি ব্যাংক হিসাবে চার কোটি চার লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে এক কোটি ২৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৩ টাকা, সর্বমোট পাঁচ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া স্ত্রী নূরুন্নাহার খানমের ৭৫ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। যার মূল্য তিন কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ৯৪০ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের নামে দুইটি ফ্ল্যাট যার মূল্য ৭৭ লাখ এবং একটি প্রাইভেটকার (টয়োটা) গাড়ি ২৯ লাখসহ মোট এক কোটি ছয় লাখ টাকা জব্দের নির্দেশ আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাব-রেজিস্ট্রার নূরুল আমিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পাওয়া যায়নি।