জাহাঙ্গীরকে প্রমাণ দিতে হবে ভিডিও তার না: আজমত উল্লা খাঁন
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘উনি (জাহাঙ্গীর আলম) বলেছেন ওই ভিভিও অসত্য। কিন্তু বক্তব্যের কণ্ঠ তো তার। তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না।’
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও বানোয়াট বলে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম পার পাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।
ভিডিওটি অনুযায়ী, ঘরোয়া একটি আয়োজনে মেয়র জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন সব কথা বলেছেন, যা মেনে নিতে পারছেন না আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ভিডিওটির শুরুতে মেয়র জাহাঙ্গীরকে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শোনা যায়। তার দাবি, বঙ্গবন্ধু তার স্বার্থে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তান ভাঙার পেছনে রাষ্ট্রপতি হওয়ার বাসনা কাজ করেছে বলেও মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
তার ধারণা, বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে থাকলে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জাতি থাকত এখানকার মানুষ।
দুই দিন ধরে তারা মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সময় জাহাঙ্গীর ছিলেন দেশের বাইরে। গত রাতে দেশে ফিরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, এই ভিডিও বানোয়াট, কথা কেটে কেটে বসানো হয়েছে। ভিডিওগুলো ফেসবুক থেকে ডিলিট করার আহ্বান জানিয়েছেন, বলেছেন, নইলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
তবে তার এই বক্তব্যে বিক্ষোভ থামছে না। দ্বিতীয় দিনের মতো নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। রেললাইনেও আগুন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছেন।
যারা বিক্ষোভে নেমেছেন, তাদের মধ্যে আজমত উল্লাহর অনুসারীই বেশি। তিনি নিজেও বলেছেন, যে ধরনের কথা জাহাঙ্গীর বলেছেন, সেটা আওয়ামী লীগের কারও পক্ষে মানা কঠিন।
মেয়র দেশে ফিরে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় আজমত বলেন, ‘মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না।’
তিনি বলেন, ‘উনি (জাহাঙ্গীর আলম) বলেছেন ওই ভিভিও অসত্য। কিন্তু বক্তব্যের কণ্ঠ তো তার। তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে আজমত সভাপতি আর জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, তার ডেপুটির বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কেন্দ্রীয় নেতারা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে আজমত বলেন, বিষয়টি বলা তার উচিত হবে না। তবে নেতারা সবাই খুবই রাগান্বিত হয়েছেন বলে জানান।
আজমত বলেন, ‘আমি এ বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে জানিয়েছি। বিষয়টি শোনার পর তারা অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তারা অনেক রিঅ্যাক্ট করেছেন।’
তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক উনাকে কী বলেছেন সে বিষয় কোন কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।