আজ শুক্রবার জুমার বয়ানের সময় মুফতি রুহুল আমিনের (আগের খতিব) পেছনে নামাজ পড়া না পড়া নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—মোস্তাইন বিল্লাহ (১৭), লিমন (১৩), এনামুল হাসান (১৬), শাকিল (২১), ফেরদৌস (২২) ও হাবিবুর (২০)।
আহত এনামুল হাসান জানায়, সে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার এক মাদ্রাসার ছাত্র। বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়তে তারা তিন ছাত্র যায়। তিনজনই বারান্দার দিকে ছিল। হঠাৎ ভেতরে মারামারি শুরু হয়। ভেতর থেকে কাচের টুকরা এসে তার খতিব জটিলতায় অনেকটা থমথমে পরিস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর আজই বায়তুল মোকাররমে আসেন খতিব রুহুল আমিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এ সময় মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন।
এ দিকে মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, দুপুরে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের আঘাত গুরুতর ছিল না।