ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তেলবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বড় ধরনের শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বগি লাইনচ্যুতিতে আখাউড়া স্টেশনে আটকা পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের শাহাজীবাজারে ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।
বিজয়নগরের মুকুন্দপুর-হরষপুরের মাঝামাঝি স্থানে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম জানান, ট্রেনের উদ্ধারকাজ শেষ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগবে।
মুকুন্দপুর রেলস্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেনের শিডিউলে বড় বিপর্যয় ঘটবে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের মুকুন্দপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল দুপুর ১২টায়। সেটি এখনও মুকুন্দপুরের আগে আখাউড়ায় আটকে আছে।
‘জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ১টা ৪৫ মিনিটে মাধবপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেটিও আটকা পড়েছে। দুই ট্রেনের যাত্রীরাই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শুধু এই ট্রেন দুটি নয়, আরও কয়েকটি ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়বে।’
পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে আখাউড়ায় অপেক্ষায় করছেন বিশ্বনাথ উপজেলার ৬০ বছর বয়সী আসমা বেগম।
তিনি বলেন, ‘অনেক গরম বাবা। এমনিতেই আমি অসুস্থ। ডাক্তার ঠান্ডা পানি ধরতে মানা করেছেন। কিন্তু গরম এত বেশি যে মনে হচ্ছে মুখ ঝলসে যাবে। তাই ছেলেকে দিয়ে ঠান্ডা পানি আনিয়ে মুখ ধুচ্ছি। কখন ট্রেন ছাড়বে জানি না।’
দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটের সুরমা উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন ব্যাংকার সোহেল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ট্রেন ঠিক সময়েই ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ছেড়েছিল। কিন্তু আখাউড়ায় এসে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হলো। এখন বাড়ির দিকে ফিরে যাচ্ছি। এই গরমে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বে।’