নাচ শেখানোর প্রলোভন দিয়ে কৌশলে পার্শ্ববর্তী দেশ হয়ে বিভিন্ন দেশে নারী পাচারের মামলায় চক্রটির অন্যতম হোতা কামরুল হাসানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর ৩ আসামি হলেন, আসাদুজ্জামান সেলিম, রিপন মোল্লা ও নাঈমুর রহমান ওরফে শামীম। তাদের দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই (নিরস্ত্র) আল-ইমরান আহম্মেদ।
আসামিপক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে ৩১ অক্টোবর এ তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ২৯ অক্টোবর রাজধানীর বৌদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। কামরুলের দেওয়া তথ্য মতে নিকুঞ্জ এলাকা থেকে সেলিম ও রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে চুয়াডাঙ্গা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, কামরুল ইসলাম ২০০১ সালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন। পরে একটি বেসরকারি কোম্পানির পণ্য ডেলিভারি ভ্যানের চালক হিসেবে চাকরি নেন। কয়েক বছর পর একটি ‘ড্যান্স’ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর হাতিরঝিল এলাকায় নিজেই গড়ে তুলেন একটি ড্যান্স ক্লাব।
উঠতি বয়সী মেয়েদের নাচ শিখিয়ে বিনোদন জগতের রঙিন স্বপ্ন দেখাতেন তিনি। পরে সেই তরুণীদের ভারতে পাচার করে দিতেন। আর এই পাচার কাজ করতে গড়ে তুলেন একটি চক্র। এই চক্রটি এ পর্যন্ত শতাধিক নারীকে পাচার করেছে বলে দাবি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। পাচারের শিকার এক কিশোরীর বাবা বাড্ডা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।