পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে পুণ্যার্থীদের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ জন নারী, ১৩ জন শিশু ও ১২ জন পুরুষ রয়েছেন।

সোমবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় আরও ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নৌকাডুবিতে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পলি রানী (১৪), লক্ষ্মী রানী (২৫), শোভা রানী (২৭), প্রিয়ান্তা রানী (৫), খুকি রানী (৩৫), সুমিত্রা রানী (৫৭), অমল চন্দ্র (৩৫), দীপঙ্কর (৫), প্রলিমা রানী (৫৫), তারা রানী (২৪), শোনেকা রানী (৬০), ফাল্গুনি রানী (৫৫), প্রমিলা রানী (৭০), ধনবালা (৪৭), সফলতা রানী (৪০), শিমলা রানী (৩৫), উশোষী রানী (২), তনুশ্রী রানী (২), শ্রেয়শী রানী (২), বিমল চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানী (৩৫), জ্যোতিষ চন্দ্র (৫৫), রূপালি রানী (৩৫) ও নৌকার মাঝি হাসান আলীর (৫২) নাম জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

রোববার মহালয়া উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বোদা উপজেলার বরদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন উৎসবে যোগ দিতে। দুপুরের দিকে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় একটি নৌকা উল্টে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। কিছু মানুষ সাঁতরে নদীর তীরে ফিরতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ থাকেন।

রোববার ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে নদীতে তল্লাশি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম থেকে আসা ডুবুরি দলও এখন অভিযানে অংশ নিচ্ছে।