নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনজুরুল হাসান খান আসামিদের মধ্যে ১৫ জনের সাত দিন করে রিমান্ড এবং অপর ৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। কিন্তু সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রিমান্ড শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হজরত আলী।
শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে ৫০ আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যেসব আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয় তারা হলেন, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জিহাদুল হক রঞ্জু ও ঝলক মিয়া, সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ঢাবি শাখার সাবেক সহসম্পাদক আল ইমরান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী শাহাদাত হোসেন, বিএনপি কর্মী সজিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের শেরে বাংলা নগর থানার সভাপতি আতিকুর রহমান অপু, যুবদল কর্মী হাসান আলী, ছাত্রদল কর্মী মুতাছিম বিল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গাজী সুলতান জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল ইসলাম প্রিন্স, বিএনপি কর্মী শুক্কুর এবং আবুল হোসেন হাওলাদার আশিক।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সেই সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ থেকে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ ৯৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।