1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র : তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২
  • ১৮৪ ০০০

পদ্মা সেতু আটকাতে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। আগামী ২৮ আগস্ট পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) পাঁচ বছর আগের স্বপ্রণোদিত মামলার শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

আইন কর্মকর্তা মানিক পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিশন গঠনের নির্দেশ বিবাদিদের দেওয়া হলেও এক নম্বর বিবাদি হিসেবে এর মূখ্য দায়িত্ব পালন করবেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব। এক মাসের মধ্যে কমিটি করে দুই মাসের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। ’

বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য চুক্তি করেও পরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রথমে তা স্থগিত এবং পরে তা বাতিল করে। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেন। রায়ে কানাডার আদালত বলেন, এই মামলায় প্রমাণ হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’।

এ রায়ের আগে দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন সেই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। অভিযোগ ছিল সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। সে সময় সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারেও যেতে হয়। তবে তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় যায়নি বলে জানায় দুদক। পরে ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পদ্মা দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেন আদালত। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন আটকে ছিলেন নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাতে বাংলাদেশের এক সম্পাদকেরও ভূমিকা ছিল।

এরপরই দেশের বিভিন্ন দৈনিক পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে জড়িয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই সব প্রতিবেদন নজরে আসার পর ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে রুলসহ আদেশ দেন। ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ৩ ধারা এবং অন্যান্য আইন অনুযায়ী পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে রুল জারি করেন। ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ কেন বিচারের মুখোমুখী করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, যোগযোগ সচিব, দুদক চেয়ারম্যাান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া কমিটি বা কমিশন গঠনে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর কমিশন গঠন নিয়ে বিবাদিদের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এর মধ্যে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করা আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন, করোনা ভাইরাস মহামারীসহ নানা কারণে রুলটি এখতিয়ার সম্পন্ন অন্য কোনো বেঞ্চে আর উঠায়নি রাষ্ট্রপক্ষ। গত শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রাক্কালে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ প্রেক্ষাপটে রুল জারির পাঁচ বছর তিন মাস পর ফের আদালতে ওঠে মামলাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony