রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে তাজুল ইসলামকে (৫৫) আটকের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলেও, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মাদকসেবী তাজুল ইসলামের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেনসিক বিভাগ থেকে তাজুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি। এটা প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানেন এবং তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু কিছু লোক মৃত্যুর ঘটনাকে পুলিশের নির্যাতনের গুজব চালিয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযানে যায় হারাগাছ থানা পুলিশ। সেখানে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তিনি জ্ঞান হারান। পরে সেখানেই তিনি মারা যান।
তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই হারাগাছ থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেন নিহতের ভাই।
বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল ও আদেশ দেন।
আদেশে তাজুল ইসলামকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটিকে প্রতিবেদন এবং মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও অপমৃত্যুর মামলার অনুলিপি আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।