স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে পায়ে অতিরিক্ত তাপ লাগে। এই তাপ লাগার কৌতূহল থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টায় গ্রামের নয়ন, পিয়াল, শাহাদাৎ, তারেক, বরকত উল্লাহসহ কয়েকজন যুবক সেখানকার মাটি খুঁড়তে থাকেন। এক ফুট পরিমাণ মাটি খোঁড়ার পরপরই দেখা যায়, বের হচ্ছে ধোঁয়া। সেই ধোঁয়ার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। যতই তাঁরা খুঁড়ছেন, ততই ধোঁয়ার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা দেখতে দূর–দূরান্ত থেকে আসছে এলাকার শিশু, নারী, পুরুষসহ উৎসুক জনতা।
তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে পায়ে অতিরিক্ত তাপ লাগে। কারণ খুঁজতে আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের কয়েকজন যুবক সেখানকার মাটি খুঁড়তে থাকেন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ মনে করছে, সেখানে কোনো দাহ্য পদার্থ থাকতে পারে। আবার কেউ মনে করছে গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামগাঁতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে মাটির রাস্তার এক পাশে গর্ত করা হয়েছে। গর্তের দুই-তিন ফুট এলাকা গরম হয়ে আছে। আর ওই গর্ত থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। ঘটনাস্থলে ভিড় করছে এলাকার শত শত মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল আলম বলেন, ‘মাটি খোঁড়ার পর এখানে ম্যাচের কাঠিতে আগুন ধরিয়ে দেখেছি, গ্যাসের কোনো কিছু খুঁজে পাইনি। এদিকে ধোঁয়া বের হওয়া বন্ধ হচ্ছে না। এতে গ্রামের সবাই আতঙ্কে আছে।’