আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, আমাদের এই দেশ সবার এবং আমরা মনে করি এ দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তের স্রোতের বিনিময়েই এ দেশের অভ্যুদয়।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার আগে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, বৃহত্তর দিনাজপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. জাকিয়া তাবাসসুম জুইঁ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমী, আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে তথ্যমন্ত্রী বর্ধিত সভায় যোগ দেন।
ড. হাছান মাহমুদ সভায় যোগ দেওয়ার আগে আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে ৭২’র সংবিধানই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করে, এরশাদ সাহেব ক্ষমতা দখল করে ৭২ সংবিধানের কাটাছেড়া করেছে। তারা সংবিধানের মূল চেতনাকে নষ্ট করেছে। আমরা সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য কাটাছেড়া করা সংবিধান পরিমার্জন করেছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তারা তো জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করেন না। তারা ষড়যন্ত্রের শক্তি আর বন্দুকের শক্তিতে বিশ্বাস করেন। সেই জন্য তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বলেন। সেই জন্য তারা অতীতে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তারা সফল হয়নি। প্রতিনিয়ত তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এবং সমাজের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে ভোট আদায়ের চেষ্টা করে সেই চক্র অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত চক্র সাম্প্রদায়িক উগ্র গোষ্ঠী দেশের পূজা মণ্ডপসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করেছে। সেগুলো ধীরে ধীরে দিবালোকের মত স্পষ্ট হচ্ছে। আমরা শুরু থেকে সেই কথা বলেছিলাম, আজ তদন্তে দেখা গেছে কিভাবে নোয়াখালী বরকতুল, ইকবালকে ইন্ধন দিয়েছে। ধীরে ধীরে এসব তথ্য বের হচ্ছে। পক্ষান্তরে আমাদের দল তাৎক্ষণিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে সরকার তাৎক্ষণিক হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ পর্যন্ত ১২৯টি মামলা হয়েছে, ১২শ’র বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সেটি সর্বমহল কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দেশের কূটনীতিকরাও প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন।