নোয়াখালী বেগমগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল আমান উল্লা পুর ইউনিয়নের কোয়াশিয়া গ্রাম।৪ দিন আগেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গোটা গ্রাম।কয়েক পরিবার আশ্রয়ান কেন্দ্রে গেলেও অধিকাংশ পরিবারের লোকেরা বাড়িতে রয়ে গেছে। চৌকির উপর চৌকি দিয়ে বসবাস করলেও খাদ্যাভাবে ৩ দিন ধরে উপবাস করে চলে কোন রকমে।এমনি সচ্ছল এক পরিবারের বাড়ি পচলাম অনোক কষ্টে।পূর্ পরিচয়ের সাএল ধরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে তাঁর বাড়ি যাওয়া। আশা ছিল একটু চাই খেয়ে শরীরটা তরতাজা করা।গিয়ে যা দেখলাম এবং যা শোনালাম ছোখে পানি ধরে রাখতে পারলাম না। গোলাঘর ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে, পুকুরের ৭/৮ লাখ টাকার মাচ ভেসে গেছে। বন্যার প্রথম দিকে প্রতিবেশীদের খাওয়ার জন্য ৫/১০ কেজি করে চাল দিয়ে ঘরের চাল শেষ করে নিজে এখন এখানের আশায় রয়েছে।গত ৩ দিন ধরে চালের গুরা ও ঝাউ খেয়ে পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে কোন রকমে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু দুটো শিশু নাতির কান্না আর সহ্য করতে পারছেন না। এলাকায় কোন উদ্ধার কর্মি বা এখান কর্মি কেহ আসেনি।তিনি আমাকে এখান নয় কিছু শিশু খাদ্যের জন্য অনুরোধ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ঘরের ভিতর থেকে তাঁর স্রীর কান্না শোনাতে পেরে জিগ্যেস করতেই তিনি জবাব দিলেন সারা জীবন মানুষকে সাহায্য করতাম এখন আমারা ভিক্ষার আশায় বসে আছি।
এ সময় ঘরের ভিতর শিশুদের কান্নার সাথে সাথে তাঁর পুএ বুদের ও কান্নার শব্দ শোনে সাথী সাংবাদিক সহ নিজের কান্না ও আটকাতে পারলামনা।
এমনি আলাইয়ার পুর ইউনিয়নের দোয়ালিয়া বাজার গ্রামের আবুল মিয়ার বাড়িতে। আবুল মিয়া এক সময় প্রকাশে নিজের টাকা খরচ করে অনেক লোক পাটিয়েছে। আজ নিজের পরিবার ৫/৬ দিন থেকে এক রকম আধা পেটা খেয়ে না খেয়ে বসবাস করছে।গোটা গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। সরকার বা বেসরকারি কোন এখান সহায়তাকারী কারুকে এ এলাকায় ও দেখা যায়নি নিলে জানান তিনি।
সুলতান পুরণের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রব জানায়, পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে একরকম না খেয়ে আছে।পরিবারের শিশুদের কান্নার রোল আর সইতে পারছিনা।
একই অবস্থা রামপুর,মিয়া পুর,আপ্তারাম পুর,বাহাদুর পুর,আলাইয়ার পুর গ্রামেও।