সাধারণ লঞ্চমালিকদের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মাহাবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গতকাল আমরা চিঠি দিয়ে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, ভাড়া বাড়াতে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়ে আমাকে বলেছিলেন দুপুর ১২টার মধ্যে জানাবেন। কিন্তু তিনি কোনো খবর নেননি, একটা ফোন পর্যন্ত করেননি। আমার সঙ্গে এখানে লঞ্চমালিকেরা বলছেন, তাঁদের তেল কেনার টাকা নেই। এই অবস্থায় আমরা কেউই লঞ্চ চালাতে পারব না।’
মাহাবুব উদ্দিন আরও বলেন, লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে কারও ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের দাবি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। ভাড়া বৃদ্ধিসহ এগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মালিকেরা লঞ্চ চালাবেন না।
গতকাল শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবের চিঠি পাঠানো হয়।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় এবং ওই দিন রাত ১২টা থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে নৌযান পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। সংগত কারণে সারা দেশে লঞ্চমালিকেরা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা এবং এরই মধ্যে স্টিল ও অন্যান্য পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে, তাই ব্যবসায় টিকে থাকার লক্ষ্যে লঞ্চ ভাড়া ১০০ কিমি পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। স্টিলের দাম বেড়েছে ২০-২৫ শতাংশ। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি।’
চিঠিতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানকে আজ দুপুরের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জানাতে বলা হয়েছে।