1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

মিতু হত্যা মামলা: পিবিআই’র প্রতিবেদন খারিজ, পুনঃতদন্তের নির্দেশ

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৮১ ০০০

মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত মামলাটি পুনতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত উপ কমিশনার কামরুল ইসলাম  বলেন, ‘বাদীর নারাজি আবেদন ও পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুটোই খারিজ করে মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের ওপর আমরা আদালতে নারাজি দিয়েছিলাম। শুনানি শেষে আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। মামলাটি পুনরায় চলবে।’

গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটি করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। গত ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। আজ বুধবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল।

নারাজি আবেদনে বলা হয়েছিল, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সিনিয়র অফিসার থেকে মামলার তদন্তভার নিয়ে জুনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে মামলা তদন্ত করা বাবুল আক্তারের প্রতি অসম্মানজনকও। মূলত মহল বিশেষের কথা মোতাবেক সিনিয়র তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ না করায় জুনিয়রকে দিয়ে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে একই ঘটনায় বাবুল আক্তারকে আসামি করে তার শ্বশুরের করা আরেক মামলা পিবিআই তদন্ত করছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনে পিবিআই বলে, মিতু হত্যা ছিল ‌‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটা সংঘটিত হয়। মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

এরপর ওইদিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন।

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুল আক্তারকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony