মেট্রোরেল সূত্র জানায় ‘মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলাকারীরা শুক্রবার হামলা করে। এতে মিরপুর-১০ স্টেশনের শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজীপাড়া স্টেশনের ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
মেট্রোরেল প্রকল্পে যুক্ত এক প্রকৌশলী বলেন, ‘মেট্রোরেলের দুই স্টেশনে প্রায় ১০০টির মতো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। এসব ক্যামেরা জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি। ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির চেহারা আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। নিরাপত্তার জন্যই এসব ক্যামেরায় উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই ওই দিন মেট্রোরেলের এসব স্টেশনে যারা হামলা করেছিল, তাদের চেহারা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এগুলো প্রধান সিস্টেমে জমা আছে। চাইলেই এসব ছবি দেখে হামলাকারীদের খুঁজে বের করা যাবে।’
এদিকে গত রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. জাকারিয়া ও সদস্যসচিব করা হয়েছে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ইফতেখার হোসেনকে। কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রতিবেদন দেবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই দুই স্টেশন আবার চালু হতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ বলেন, ‘মেট্রোরেলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করার জন্য কাজ চলছে। হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে মামলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে ডিএমটিসিএল।’
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান ‘এখন প্রযুক্তি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সিসি ক্যামেরার সঙ্গেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যোগ করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে এসব সিসি ক্যামেরা মানুষের গতিবিধি দেখে সে অপরাধী কি না, সেটাও বুঝতে পারে।’
যানজটের নগরী ঢাকায় ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর চালু হয় মেট্রোরেল। সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম এই যোগাযোগব্যবস্থা চালুর পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করেছে মেট্রোরেল। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ খুলে দেওয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে যখন সড়কে যানজট ছিল, সে সময়ও মেট্রোরেলের সব স্টেশনেই ছিল ভিড়। তবে কয়েক দিন থেকেই বন্ধ মেট্রোরেল।