রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্টসহ সব ধরণের অবকাঠামো নির্মাণে কাজের গুণগত মান ঠিক না রাখলে জড়িতদের ‘কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে’ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সোমবার গোপালগঞ্জ জেলা সফরে এসে টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে উন্নয়নবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন,‘কাজের গুণগত মান ঠিক না রাখলে এর সাথে যারাই যুক্ত থাকুক না কেন তাদের পরিণতি ভালো হবে না। নিম্নমানের কাজের সঙ্গে প্রকৌশলী, ঠিকাদার বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্তসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সব চলমান কার্যক্রম অবশ্যই টেকসই এবং গুণগত মানসম্পন্ন হতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কাজে মান ঠিক আছে কিনা, সময়মত শেষ হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন ও মনিটরিং করার দায়িত্ব প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের। ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এই কথা ঠিক না। যারা ঠিকমতো কাজ করবে না, কাজের গুণগত মান ঠিক রাখবে না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে না তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাস্তা ও ব্রিজসহ যেকোনো অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে সেটা করতে হবে। রাস্তা পাকা করার পর পাঁচ বছরে যেন সংস্কার করতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ডিজাইন এবং ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কম টাকা দিয়ে রাস্তা-ব্রিজ বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করার চেয়ে গুণগত ও টেকসই করার জন্য খরচ বেশি করে করা ভালো।’
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
তাজুল ইসলাম পরে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।