নাটোরের লালপুরে ছয় বছরের শিশু নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ইলিয়াস হাসান ইমন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের ও লাপলপুর থানার ওসি ফজলুর রহমান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৯ অক্টোবর প্রতিবেশী আরশেদ আলীর বাড়িতে পিকনিক করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমী। অনেক সময় পরও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না এলে নুসরাতের মা তাকে খুঁজতে বের হন। কিন্তু কোথাও নুসরাতকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং এবং আশপাশের রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো হয়। সেই সঙ্গে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। এরপর ২৩ অক্টোবর সকালে শিশু নুসরাতের বাড়ির অদূরের একটি ধানের জমি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নুসরাতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইলিয়াস হাসান ইমন ও মরদেহ গুম করার সহযোগিতায় করায় ইমনের বাবা ফাইজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ইমন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নুসরাত জাহান বাবলী ওরফে জেমীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।রোববার গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।