মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে মাইজদিহি পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী গ্রামের আব্দুল আহাদ নাইছ মিয়ার ছেলে তোফায়েল মিয়া (৩৫) ও একই ইউনিয়নের জগনশালা গ্রামের মৃত মনির মিয়ার ছেলে শহীদ মিয়া (৪০)। তারা একই ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর ব্যাটালিয়ান কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা জানান, ভোরে মাজদিহি চা বাগান এলাকায় র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। আত্মরক্ষায় র্যাবের পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। এসময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হন। গুলিবিনিময় থামার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। র্যাব তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ দু’টি শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার পুলিশ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত তোফায়েল মিয়া নাজমুল হত্যার ২ নম্বর ও শহীদ মিয়া ৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য, কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজারে গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন নাজমুলের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নিজ বাসার সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই নয় সন্ত্রাসী।
মৃত্যুর আগে নাজমুল ফেসবুক লাইভে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল। তার দাবি, ইউপি নির্বাচনে সদস্যপদে নির্বাচন করার ঘোষণায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তার মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয় সেই দাবিও জানিয়েছিলেন নাজমুল।