প্রেসিডেন্টের বাসভবনের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশের পর বিক্ষোভকারীরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলের পর বিক্ষোভকারীরা আনন্দে ফেটে পড়েন। কেউ সেলফি তুলছেন, ঢোল বাজিয়ে চিৎকার করতে করতে ‘রনিল পাগল, গোতা পাগল’ স্লোগান দিচ্ছেন।
দ্বিতীয় তলার ব্যালকনিতে, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’ লেখা একটি চিহ্নের ঠিক উপরে বিক্ষোভকারীদের শ্রীলঙ্কার পতাকা উঁচু করে ধরে থাকতে দেখা গেছে।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাদের টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে দেখা গেছে। কেউ কেউ বারান্দায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় তারা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গেট ভেঙ্গে এখন মাঠে ঢুকে পড়েছে। বিবিসির সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মাঠে বিক্ষোভকারীদের ভিড় উপচে পড়ছে। গেটের বাইরে সশস্ত্র পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর অনেকেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনন্দে চিৎকার করছে।
বিক্ষোভকারীরা কলম্বোতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করার সময় বিবিসির খবরে বলা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে সেখানে নেই। সুতরাং তিনি এখন বিপদমুক্ত।
বিক্ষোভকারীরা তার আবাসিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিন আত্মগোপনে রয়েছেন রনিল। তার পরিবারও এই বাসভবনে অবস্থান করছেন না।
তবে অবস্থান না জানা গেলেও অফিসিয়াল সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন রনিল। বিভিন্ন আদেশও জারি করছে তার অফিস। সংসদের স্পিকার তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।