সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর একটি ফোর্স রাজধানী খার্তুমে বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর পরপরই সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জবাবে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হামদকদের একজন উপদেষ্টাকেও আটক করেছেন সেনারা। পরে আবদাল্লা হামদকের মন্ত্রিসভার আরও চার সদস্য এবং ক্ষমতাসীন সভরেইন কাউন্সিলের একজন বেসামরিক সদস্যকেও আটক করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এ দিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, খার্তুমে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়ার কথা বলছেন অনেকে। সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ২০১৯ সালে সরিয়ে দেওয়ার পর সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক গোষ্ঠীগুলোর নড়বড়ে এক ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির মধ্য দিয়ে গত দুই বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল পূর্ব আফ্রিকার দেশটি।
সেপ্টেম্বরে বশিরের অনুগত সেনাদের ব্যর্থ এক অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেসামরিক নিয়ন্ত্রিত জোট ফোর্সেস অব ফিডম অ্যান্ড চেইঞ্জের (এফএফসি) সংস্কার এবং মন্ত্রিসভায় রদবদলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অন্যদিকে বেসামরিক নেতারা এ দাবিগুলোকে দেখে আসছিলেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ‘ক্ষমতা দখলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ হিসেবে।