কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইসিটিসহ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে। তবে সকল উন্নয়নের মধ্যে স্বাধীনতার পরে যে অর্জনটি সবচেয়ে বড় ও লক্ষ্যণীয়- তাহলো পদ্মা সেতু। সকল দিক বিবেচনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন এটি। পদ্মা সেতু জাতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। একই সাথে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর সহচর মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রাপ্তিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ এক স্মরণসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু জাতির স্বপ্নের সেতু, গর্বের সেতু, অহংকারের সেতু। ২৫ তারিখে এটির উদ্বোধন হবে, সেদিন সারা জাতি আনন্দে মেতে উঠবে। এ মহোৎসবকে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে বানচাল করতে চায়, তাদেরকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। কোন অপশক্তিই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আনন্দকে ব্যাহত করতে পারবে না।
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যশোরের ফুল, সাতক্ষীরার আমসহ দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল সহজেই ঢাকা আসতে পারবে। ঐসব অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে বাজার তৈরির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিও হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় খুবই সক্ষম। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে। শুধু হার-জিত দেখলে হবে না। দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছে-এদিকগুলোও বিবেচনা করতে হবে। সব মিলিয়ে নির্বাচন সুন্দর হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন এমপি, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।