কুমিল্লায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মনোহরগঞ্জ উপজেলা কাঁচি ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা কালাকচুয়ায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
লাকসাম হাইওয়ে হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা একুশে পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের বিপুলাসার এলাকায় ওভারটেক করতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত মিশুক পরিবহনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহতরা হলেন অটোরিকশার যাত্রী মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাকচাইল গ্রামের রুহল আমীন (৬৫), তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৫৫) ও অটোরিকশার অপর যাত্রী একই এলাকার কলেজ ছাত্রী মায়মুনা আক্তার সাইমা মুন্তাহা (২২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দুর্ঘটনায় আহত হন অটোরিকশার চালক খোকন মিয়া ও একুশে পরিবহনের চার যাত্রীসহ ৫ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত খোকন মিয়াকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়ায় পত্রিকাবাহী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় মাইক্রোবাসের চালক লিটন মিয়া মারা যান।
তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ডুবচাইল গ্রামে। মরদেহগুলোকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম জানান, আজ ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় সংবাদপত্র পরিবহন সংস্থা চাঁদনী পরিবহনের মাইক্রোবাসচালক লিটন নিহত হয়েছেন।নিহত লিটন ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ডুবাচাইল গ্রামের মৃত কবিরুল ইসলামের ছেলে।