1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

হবিগঞ্জে ঢুকছে পানি, প্লাবিত আড়াই শ গ্রাম

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : সোমবার, ২০ জুন, ২০২২
  • ২০৭ ০০০

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কালনি-কুশিয়ারা দিয়ে নামছে হবিগঞ্জে। অন্যদিকে মেঘনা নদীর পানি বেড়ে বইছে উজানে। এতে উজান-ভাটি দুদিক থেকেই হবিগঞ্জে ঢুকছে পানি। সেই সঙ্গে তীব্র হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। পানিবন্দী অন্তত আড়াই শ’ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। এখনো পানিবন্দী সব জায়গায় পৌঁছায়নি খাদ্য সহায়তা। অনাহারে দিন কাটছে বানভাসিদের।

দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান ভুক্তভোগীদের। জেলা প্রশাসন বলছে, বানবাসীদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। সেই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

গত তিন দিন ধরে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়তে থাকে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। কালনি-কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে। গত শনিবার কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ডুবে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। জেলার আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়। পরদিন রোববার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন অংশে দেখা দেয় ভাঙন। প্লাবিত হয় নতুন নতুন এলাকা। বিকেল থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের পানি কুশিয়ারা দিয়ে নামতে থাকলে আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার ২২টি ইউনিয়নরে অন্তত আড়াই শ গ্রাম পানিবন্দী হয়।

অধিকাংশ এলাকাতেই বন্যা দুর্গতরা এখনো বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। তাদের কাছে পৌঁছায়নি খাদ্য সহায়তা। অনাহারে দিন কাটছে বন্যাকবলিত অনেক মানুষের।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুদিক থেকে হবিগঞ্জে ঢুকছে বন্যা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কুশিয়ারা নদী দিয়ে হবিগঞ্জে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ও পৌর এলাকা দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অন্যদিকে, মেঘনা নদীর পানি উজান বয়ে আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও এবং লাখাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে-খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ও শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। তাই শহরবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এ ছাড়া কালনি-কুশিয়ারার পানি আজমিরীগঞ্জ অংশে বিপৎসীমার ১৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, ‘পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বৃষ্টি না হলেও রাত পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি ১০ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা সেটি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাঁধ উপচে শহরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে—বন্যার্তদের জন্য জেলায় ৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ‘উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। অনেকে গবাদিপশু রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।’

এদিকে, মানুষের পাশাপাশি সংকট দেখা দিয়েছে গৃহপালিত পশুগুলোর। গরু-ছাগলগুলোকে উঁচু জায়গায় রাখা হলেও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আবার অনেক গবাদিপশু পানির মধ্যে বেঁধে রাখতে দেখা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony