1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

হিজাব নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২৯ ০০০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার অপতৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ তোলা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান একাডেমিক কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ভাইভা ও অন্যান্য একাডেমিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখা বাধ্যতামূলক হলেও এ বিষয়ে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। একাডেমিক নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর ‘পরিচয়’ নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে অবশ্যই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে শিক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে দেখতে হয়, যা শিক্ষকদের একাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্বের অংশ। আর এরূপ দায়িত্ব পালনে শিক্ষকদের অসহযোগিতা তথা মুখমণ্ডল দেখাতে অস্বীকৃতি জানানো পরোক্ষভাবে একাডেমিক রীতিনীতিকেই অস্বীকার করার শামিল। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে, যা কাম্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রমের সময় মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখার পক্ষে আদালত রায় দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধকে ধারণ করে, এটি কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও পোশাকপরিচ্ছদের স্বাধীনতা রয়েছে। সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য একই নীতি প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা শ্রেণির জন্য আলাদা কোনো একাডেমিক নীতিমালা সম্ভব নয়। অতএব—সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ একাডেমিক কার্যক্রম স্বাধীনভাবে পরিচালনা করবেন, এটাই স্বাভাবিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, ধর্মীয় মূল্যবোধের অপব্যাখ্যা করে শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাদানকারী বা এ সম্পর্কে অপপ্রচারকারী, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, অরাজকতা সৃষ্টি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও গৌরব নষ্ট করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি।

সম্প্রতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৩য় বর্ষের ভাইবাতে হিজাব পরিহিত নারী শিক্ষার্থীকে ‘হেনস্তা’ করার অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্যাম্পাসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ নিয়ে গত ৩০ আগস্ট অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তি দাবি ও হিজাব-নিকাবের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার নিকাব ও হিজাব পরিহিতাদের হেনস্তার অভিযোগকে ‘মিথ্যা রটনা’, ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ইনস্টিটিউটের ২৭ জন শিক্ষক। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি শিক্ষকেরা ঘটনাটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony