এদিকে মমিন পাটোয়ারীর মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড পেজে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২–এ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় আহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক এম এ মমিন পাটোয়ারী মারা গেছেন। বাংলাদেশে কি এই হত্যার বিচার হবে? আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান এম এ মমিন পাটোয়ারি। সেখানে তিনি হামলার শিকার হন। এতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয় তাঁর। পরে তাঁকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মমিন পাটোয়ারীর সংসারে স্ত্রী ও এক ছেলে আছে। তিনি ডায়াবেটিক ও হৃদ্রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর মরদেহ রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া সুমন ও জেলা যুবলীগের নেতা নজরুল ইসলাম ভুলু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল তাঁদের ফেসবুক আইডিতে মমিন পাটোয়ারীর ছবি দিয়ে আবেগঘন একটি লেখা পোস্ট করেন।
এতে তাঁরা লিখেছেন, ‘ভাই আর নাই। ১৫ আগস্টেই আপনাকে হারিয়েছি। যদি হাসপাতালে আক্রমণ হয়? যদি হাসপাতাল থেকে জেলে নেওয়া হয়? আজ আর কেউ আক্রমণ করবে না। আজ আর কেউ জেলে নেবে না। ভাই ভালো থাকবেন ওপারে। আপনি অনেক আবেগী ছিলেন। মানা করছিলাম ১৪ আগস্ট রাতে। আপনি রেগে গিয়েছিলেন। এত অভিমান? অভিমান নিয়েই চলে গেলেন।’