করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে বাড়ি যাওয়ার সময় কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মোশাররফ হোসেন খান (২৪) নামে এক যুবকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
মোশাররফ হোসেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আব্দুস ছাত্তারে ছেলে। দুই ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে মোশাররফ চতুর্থ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রেল লাইন পার হওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলছিলেন তিনি।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহার-উল-হক বলেন, ‘কমলাপুর রেলস্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ঘোরানোর সময় তার নিচে চাপা পড়েন ওই যুবক। এ সময় তার দুই পা কোমরের নিচের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ঘটনার সময় মোশাররফ মোবাইলে কথা বলছিলেন। ইঞ্জিনটি একাধিকবার হর্নও দিয়েছিল। কিন্তু তা খেয়াল করেননি তিনি।’
আহত মোশারফ হোসেনের বোনের জামাই তালেব হোসেন বলেন, ‘মোশাররফ রাজধানীর আজিমপুরে চাচা স্বপন খানের বাসায় থেকে তার জুতার দোকানে কাজ করত। মঙ্গলবার তার করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে যায়। সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়।’
ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় মোশাররফের দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার এক পা চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকলেও অপর পায়ের অবস্থা করুণ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পা দুটি কেটে ফেলা হবে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেকোনো সময় অবস্থার অবনতি হতে পারে। আপাতত তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে।