বিপনীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পাশে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ (৬০) নামের এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম-রাজু চন্দ্র শীল (৩০)। তিনি স্থানীয় একটি সেলুনে কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে দই-মিষ্টি বিক্রয় করে আসছিলেন। ঘটনার দিন রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি অভিযুক্ত রাজু চন্দ্র শীলের কাছে যান। এরপরই তাকে হত্যা করা হয়।
বিপনীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী মো. ইসমাইল জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে রাত ১টায় সাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় যে, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে দোকান পরিষ্কার করে পুরাতন জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে।
এরপর সেই বস্তাটি আসামি বিপনীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টীল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশের গলির ভেতর ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর আসামি পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে থাকে। সেলুন থেকে লাশ ফেলার স্থান পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়।
পরবর্তী সময়ে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে সে দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্ত মাখা পানি দেখতে পান। এ ছাড়া সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। এই ঘটনার পর আসামি রাজু চন্দ্র শীল পলাতক হয়।
সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিআইডি নজরে আসে। এরপর ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
তিনি আরও বলেন, সিআইডি অভিযুক্তের সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে সিলেট শহর হতে অভিযুক্তকে সিআইডির একটি টিম গ্রেপ্তার করে।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, আসামি স্বীকার করেছে টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করেই সে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।