টঙ্গীতে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী আমিনুল টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গীর নামা বাজার বস্তি থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আমিনুল কে জিজ্ঞোসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রায় দেড় বছর আগে টঙ্গীর কলাবাগান বস্তির এক তরুণীর সঙ্গে আমিনুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় মাস আগে আমিনুল ওই তরুণীকে গাজীপুর মহানগরের গাছা (তারগাছ) এলাকার একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও তরুণীর ইমো অ্যাপে পাঠায়। ওই ভিডিওটি এলাকার আরও কয়েকজনের কাছে চলে যায়। ওই ভিডিওর বিষয়ে কথা বলতে রবিবার (৫ জুলাই) টঙ্গীর অলিম্পিয়া স্কুলমাঠে আমিনুলকে ডেকে নেয় ৫৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেন এবং সহসভাপতি পারভেজ ঢালীসহ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে সেখানে আমিনুলকে মারধর ও ভয় দেখিয়ে মীমাংসার কথা বলা হয়। এর জন্য এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে যুবকরা। তারা আমিনুলের কাছ থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেয় ও খোলা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানি জানান, মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তরুণীর অভিভাবক ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকায় ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে বাকি অভিযোগগুলো মিথ্যা।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।