খুলনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী পরিমল বাইনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে খুলনার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার আসামি পরিমল বাইন পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার এএসআই আবদুল মজিদ গাজীরহাট এলাকার পদ্মবিলা ও বামনডাঙ্গা বিলের মাঝে আত্রাই নদীর সংযোগস্থল থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেন। লাশের পরিচয় না পাওয়ায় এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই আসাদুজ্জামান এ ঘটনার কূলকিনারা করতে পারেননি। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী তদন্ত করে স্বামী পরিমল বাইন ও টিপু সুলতান শেখকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিমল বাইন তার স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরিমল বাইনের একাধিক বিয়ের ঘটনা জেনে যাওয়ায় স্ত্রী মিনারানী পোদ্দার স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তাই তাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে স্বামী পরিমল। হত্যার জন্য ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় একই এলাকার টিপু সুলতানকে। সে অনুযায়ী ভিকটিমকে তার স্বামী ১৩ এপ্রিল রাতে টিপু সুলতানের বাড়ি নিয়ে যান। বাড়িতে নেওয়ার সাথে সাথে টিপু দা দিয়ে ভিকটিমের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে চুক্তি অনুযায়ী পরিমল খুনী টিপু সুলতানকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
২০১৭ সালের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে আসামি টিপু সুলতানের মৃত্যু হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর অপর আসামি পরিমল জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।