দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে কারগারে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দাঙ্গার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
দেশটির কারা ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সহিংসতার ঘটনা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ দাঙ্গা হয়। দাঙ্গায় অন্তত পাঁচ জনের শিরচ্ছেদ করা হয়েছে। আর বাকিরা গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশ কমান্ডার ফাস্তো বুয়েনানো জানান, প্রায় চারশ’ পুলিশের চেষ্টায় কারাগারের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কারাগারটিতে মূলত মাদক চক্র সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বন্দি রাখা হতো।
ইকুয়েডরের কারাগার কর্তৃপক্ষের পরিচালক বলিভার গারজন বলেন, বুধবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ কারাগারের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়, কিন্তু রাতে আবারও গুলি চলেছে, বিস্ফোরণও হয়েছে। আর আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা কারাগারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যে স্থানে সংঘাত হয়েছে সেখানে আমরা যতই ভেতরের দিকে যাচ্ছি, ততই নতুন নতুন মরদেহের সন্ধান পাচ্ছি।
পুলিশ কমান্ডার ফাস্তো বুয়েনানো জানান, এক অংশের বন্দিরা দেওয়ালে গর্ত খুঁড়ে অন্য অংশে প্রবেশ করে। সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সর্বশেষ দাঙ্গার ঘটনা এটি। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আরেক দাঙ্গায় ৭৯ বন্দি নিহত হয়েছিলেন।