কুমিল্লার ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে এবং কক্সবাজারে ইকবালের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বিএনপির মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম থেকেই মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের ধরন হচ্ছে, “ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না” এবং মনে হচ্ছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন ইকবালকে কারা কক্সবাজারে পাঠিয়েছে। যারা এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে, তারাই ইকবালকে কক্সবাজার পাঠিয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়ে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।’
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর ও দ্রুততম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনায় এক শর বেশি মামলা হয়েছে। কয়েক শ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পূজামণ্ডপে যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছিল, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে বাকি তথ্য বেরিয়ে আসবে।
একই সঙ্গে স্বল্পতম সময়ে পীরগঞ্জে পোড়া ঘরগুলো মেরামত, নতুন ঘর নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ও খাদ্যসহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়ে সেখানকার কিছু সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধের খবর পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও আমাদের চেতনার বেদিমূলে আঘাত, আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই ও প্রতিকারে সচেষ্ট। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জনগণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এবং আবেগতাড়িত হলেও যেন কারও বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’