1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

পালিয়েছে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাসের মালিকপক্ষ, গ্রেপ্তার ১০ কর্মচারী

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৫৫ ০০০

ভুক্তভোগীরা পোশাককর্মী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালক, সবজি-ফল ব্যবসায়ী, গৃহকর্মীসহ সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ। কাগজে–কলমে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যসংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

গতকাল সোমবার বেলা দেড়টা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। মিরপুরের নান্নু মার্কেট এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে ১৭টি মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব বই, ২৬টি চেক বই, ২টি হিসাব বই, ৩টি সিল, ১২০টি সঞ্চয়ী হিসাবের বই, পাসপোর্ট, টাকাসহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জসীম উদ্দিন একজন অলৌকিক, ভৌতিক চরিত্র। সমিতির সদস্যদের তিনি দেখা দেন না। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দেশেই আছেন। আমরা সব বন্দরকে জানিয়ে দেব, তিনি যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন।’

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনায় জসীম উদ্দিনের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালক ও শ্যালিকা আছেন বলেও মোজাম্মেল হক জানান।

র‌্যাবের ভাষ্য, জসীম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ২০০৩ সালে তিনি কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড চালু করেন। সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন নেন ২০০৬ সালে। সেটি নবায়নও করিয়েছেন। এমনকি ২০১৯ সালে অধিদপ্তর নিরীক্ষাও করেছে প্রতিষ্ঠানটির। তখনো প্রতারণা বিষয়টি বেরিয়ে আসেনি। র‌্যাব ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কাজকর্ম সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করে।

কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কোম্পানি লিমিটেড নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখত। এক লাখ টাকা জমা রাখলে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত তারা। আর যে গ্রাহক জোগাড় করে দিত, তাকে দেওয়া হতো এক হাজার টাকা। আবার সঞ্চয়ী হিসাবও চালু করেছিল তারা।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, কেউ যদি মাসে ১ হাজার টাকা জমা দিত, তাহলে পাঁচ বছর পর তাঁকে ৯০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর টাকা ভেঙে ভেঙে প্রথম কয়েক মাস দু-চার হাজার টাকা করে দিলেও পরে তারা ঘোরাতে শুরু করে।

র‌্যাব জানায়, ভুক্তভোগীদের মূলধনের পুরোটাই হাতিয়ে নিয়েছেন জসীম উদ্দিন। পরে এই টাকা দিয়ে জসীম মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কর্ণফুলী রিয়েল এস্টেট লি., জসীম ইন্টারন্যাশনাল ওভারসিস লিমিটেড, জসীম স্টুডেন্টস কনসালটেন্সি ফার্ম লিমিটেড, জসীম ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, জসীম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও জসীম নিট কম্পোজিট লিমিটেডের মালিক হন। তাঁর দুই স্ত্রীর একজন বসুন্ধরায় ও অন্যজন গ্রিন রোডে থাকেন। জসীমের একটি প্রাডো গাড়ি রয়েছে, গাজীপুরের মাওনায় প্লট ও তিনতলা বাড়ি, মিরপুরে বাড়ি, ঢাকার বাইরে কয়েক একর জমির সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে।

জসীম উদ্দিনকে ধরা যায়নি, কর্মচারীদের ধরে কী লাভ, এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-৪–এর অধিনায়ক বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন শাকিল আহম্মেদ প্রকল্প পরিচালক। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেনেশুনে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। জসীম উদ্দিন তাঁর মুঠোফোনটি গ্রিন রোডের স্ত্রীর বাসায় রেখে গেছেন। এখনো দেশের সীমানা পার হননি বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ কয়েক ভুক্তভোগী ছিলেন। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, দুটি বাস ভরে ভুক্তভোগীরা এসেছিলেন র‌্যাব-৪–এর কার্যালয়ে। সবাইকে সঙ্গে করে আনা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগীরা পোশাককর্মী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালক, সবজি-ফল ব্যবসায়ী, গৃহকর্মীসহ সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ। কাগজে–কলমে প্রতিষ্ঠানটির সদস্যসংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

ভুক্তভোগীদের একজন অটোচালক মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বউ নার্গিস আক্তার দেড় লাখ টাকা রাখছিল প্রথমে। পরে দুইটা ডিপোজিট রাখছে। সব টাকা মাইর। আমরা শেষ। আর কি টাকা ফেরত পামু?’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony