মালালা ইউসুফজাই ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় পশতুন জাতিগোষ্ঠীর এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তালেবানের বাধার পরও নারী শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এ সময় চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
নারীশিক্ষা বিস্তারের পক্ষে কাজ করার জন্য মালালা ইউসুফজাই সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন মালালা। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করে। মালালার নামে জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবস রয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ জুলাই তার ১৬ তম জন্মদিনে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে আত্মজীবনী লিখেছে এ নোবেলজয়ী কিশোরী। বইয়ের নাম আই অ্যাম মালালা: হাউ ওয়ান গার্ল স্টুড আপ ফর এডুকেশন অ্যান্ড চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড। বইটি ঠাঁই করে নিয়েছে অ্যামাজনের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের তালিকায়।
মেয়ের বিয়ের কথা জানিয়ে টুইটারে পোস্ট করেছেন মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাইও। তিনি লিখেছেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তুর পেকাই ইউসুফজাই (মালালার মা) ও আমি খুবই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।’
বর আসার মালিকও মালালার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি মালালাকে আংটি পরিয়ে দিচ্ছেন।
মালালার বিয়ের খবরে টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।