টঙ্গীর এরশাদনগর ৩নং ব্লকে এক গার্মেন্টস কমীর্ (১৮) ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ধর্ষক পরিবারদের হামলায় ৫জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মোসা: জোসনা আক্তার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার ৭জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আসামীরা হচ্ছে—রুবেল, বাচ্চু মিয়া, আমেনা বেগম, আলমগীর, রুমা, রাকিব ও জান্নাত।
অভিযোগে জানা যায়, তার মেয়ে গার্মেন্টস কমীর্ জাকিয়া আক্তার সুমাইয়া (১৮) টঙ্গীর একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সেই সুবাদে একই এলাকায় বসবাসকারী মো: রুবেল মিয়া তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৭ জুলাই রাতে এরশাদনগর ৩নং ব্লকে তাদের বাসা গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবতীর্তে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। পরে সুমাইয়া বিষয়টি পরিবারের লোকজকে জানালে গত মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ষণকারী রুবেলের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানালে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে তাদের উপর লাঠিশোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় জোসনা আক্তার, জাহাঙ্গীর আলম ও আখি আক্তারসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।