চট্টগ্রামে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তিকে একটি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পরেও ৭ বছর ধরে কনডেম সেলে আটক রাখার ঘটনা নজরে আনা হলে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
পরে হাইকোর্ট বলেন, আপনি (শিশির মনির) লিখিত আবেদন নিয়ে আসুন। আমরা বিষয়টি দেখব।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩ আগস্ট) ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে আবুল কাশেম। তিনি ২০০২ সালের ৩০ মার্চ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই এ মামলায় আবুল কাশেমসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত। সে সময় আবুল কাশেম পলাতক ছিলেন।
তবে ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আবুল কাশেমকে খালাস দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ।
এরপর তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে পৌঁছেছে। কিন্তু ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত। তখন থেকেই কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম।