রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত শারীরিক চেকআপ শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে তিনি তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে পৌণে ৫টার দিকে সেখানে পৌঁছান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, গত জুন মাসে তাঁর এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছিল, যেটাকে আপনারা রিং পরানো বলেন। এরপর কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য সমস্যার নিয়মিত পরীক্ষাগুলো করা হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার লিভারে ও ফুসফুসে সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলোরও তেমন কোনো উন্নতি নেই। আগামীকাল পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার আগে ফিরোজার সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। একটি মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন তিনি সেই সাজার মধ্যে আছেন। তিনি এখন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসা পাওয়া যে মৌলিক অধিকার, সেটা থেকেও তিনি বঞ্চিত।
এর আগে অসুস্থ হয়ে টানা দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ১০ জুন গভীর রাতে হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদ্যন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।