1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

তারেককে দেশে আনার চাপ

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৪৮ ০০০
 বিএনপি এবং বিভিন্ন মহল তারেককে দেশে ফেরার জন্য রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করছে। তবে তারেক জিয়া এখনই দেশে ফিরতে রাজি না। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাম্প্রতিক সময় বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। এ সমস্ত আন্দোলনে নেতৃত্বের সংকট বড় ইস্যু হিসেবে সামনে এসেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদিও বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়াই তাদের নেতা। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্যগুলো রাজনীতির মাঠে যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না, ঠিক তেমনি কূটনীতিকরাও এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলন করতে চায় তবে তারেক জিয়ার দেশে ফেরার কোনো বিকল্প নেই। তারেক জিয়া যদি দেশে ফিরে কারাবরণ করেন বা তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। তবে একাধিক বিএনপির সূত্র বলছে, তারেক জিয়া দেশে ফিরতে আগ্রহী নন। বরং লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপনেই তিনি অধিক আগ্রহী। কোনভাবেই আবার জেলে যাওয়া বা তার মামলাগুলোর মুখোমুখি হতে তিনি সম্মত নন।
তারেক জিয়ার একজন আইনজীবী বলেছেন যে, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মানি-লন্ডারিংয়ের মামলাটিতে দন্ড হাইকোর্ট দিয়েছে। নিম্ন আদালতে ওই মামলায় তারেক জিয়াকে দণ্ড থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছিলো, তাকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এই মামলায় আপিল শুনানিতে তারেক জিয়াকে দোষী হিসেবে দেখতে পায় এবং তাকে সাত বছরের দণ্ড দেয়। এই মামলাটির শেষ ধাপ হলো আপিল বিভাগ। আইনজীবীরা বলছেন যে, মামলার যে ধরন এবং হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে এই মামলা থেকে তারেক জিয়ার নিষ্কৃতি পাওয়া অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। আপিল বিভাগ হলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শেষ পর্যন্ত যদি আপিল বিভাগে এই মামলায় তারেক জিয় দণ্ডিত হয়ে যায় তাহলে তারেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। পাশাপাশি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলাতেও তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার বিরুদ্ধে তারেক জিয়া এখন পর্যন্ত আপিল করেননি। এই আপিল করার জন্য তাকে আত্মসমর্পণ করে আপিল করতে হবে। সেই সুযোগটি তিনি গ্রহণ করেননি। ইতিমধ্যে এই মামলায় আপিল করার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আইনজীবীরা বলছেন যে, অতিক্রান্ত হলেও তিনি যখনই দেশে ফিরবেন তখনই মামলায় আত্মসমর্পণ করে তাকে আপিল করতে হবে। সেজন্য তাকে জেলে যেতে হবে।
তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলছেন যে, সরকার এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী এবং তারেক জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরেন তাহলে তাকে কারাগারে যেতেই হবে। কারাগারে গেলে তারেক জিয়ার বের হওয়াটা অনেক মুশকিল এবং দূরহ কাজ। তারা এক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার উদাহরণ দেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো সেই সময় অনেকে বলেছিলো যে, বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে বা তাকে জেলে রাখা হলে সরকারের পতন ঘটবে। কিন্তু আসলে সরকারের তেমন কিছুই হয়নি, বরং বিএনপি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি বিএনপির সাংগঠনিক দৈন্যদশা এর মধ্য দিয়ে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি ভালো মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সরকারের অনুকম্পায় বেগম খালেদা জিয়া এখন জামিনে মুক্ত আছেন। তারেক জিয়ার বিষয়টিও সেরকমই মনে করছেন বিএনপির তারেকপন্থীরা। তারা মনে করছেন, এই সময়ে দেশে আসা হবে আত্মঘাতী এবং সরকারকে আরও সুযোগ দেওয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওই বাস্তবতা এখন আর নেই যে, একজন নেতা আসলে তার জন্য হাজার হাজার লোক রাস্তায় নামবে। বরং এখন বাংলাদেশের মানুষ নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত। এই বাস্তবতায় বিভিন্ন মহল থেকে তারেক জিয়ার দেশে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি হলেও তারেক জিয়া দেশে আসতে চান না। বরং লন্ডনে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য এবং নানা রকম উপায়ে বিপুল বিত্তে আরাম আয়েশে জীবন কাটানোই তিনি শ্রেয় মনে করছেন।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony