1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বাজেটে পন্যের দাম কমছে ও বাড়ছে

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
  • ১৪২ ০০০

দাম কমছে

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) এবং শুল্ক কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এতে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে সেগুলো হলো-

ওষুধ : ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধ উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে দাম কমতে পারে। ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধেও করছাড় দেওয়া হয়েছে বাজেটে।

পানি প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র : সমুদ্রের লবণাক্ত পানি থেকে সুপেয় পানি উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত সোলার পাওয়ার অপারেটেড ওয়াটার ডিস্টিলেশন প্ল্যান্টের আগাম কর অব্যাহতির সুপারিশ।

মিষ্টি : মিষ্টান্ন ভাণ্ডার সেবা হতে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এ খাতে বলবৎ ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার অর্ধেক কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পশুখাদ্য : পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার্য কোকোনাট বা কোপরা ওয়েস্টের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

হাতে তৈরি বিস্কুট-কেক : হাতে তৈরি বিস্কুটের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং কেকের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এতে হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেকের উৎপাদন খরচ কমবে। তবে পার্টি কেকে এই ছাড় নেই।

অপটিক্যাল ফাইবার : অপটিক্যাল ফাইবার কেবল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। এতে এর দাম কমতে পারে।

উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ : নিবন্ধিত এয়ারলাইন্সের আমদানিকৃত উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, টার্বো জেট ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

কনটেইনার : আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনার ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে চায় সরকার। এ জন্য কনটেইনার আমদানিতে করভার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগে যা ধরনভেদে ৩১ ও ৩৭ শতাংশ ছিল।

কৃষিযন্ত্র : কৃষিতে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার, ড্রায়ার, সব ধরনের স্প্রেয়ার মেশিন, পটেটো প্ল্যান্টার, আমদানিকৃত সব ধরনের কন্টেইনারের আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য : ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেশার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আরও দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল থাকবে। একই সুবিধা পাবে ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানা। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পণ্য উৎপাদনে অব্যাহতি সুবিধা তিন বছর (২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে এখনকার ৫ শতাংশের অধিক ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়বে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর থাকবে। সাবান ও শ্যাম্পুর দুটি কাঁচামালে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা এক বছর বহাল রাখা হচ্ছে।

 

দাম বাড়ছে

প্রতি বছর বাজেটে শুল্ক পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামের হেরফের ঘটে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় শুল্ক পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, ফলে বাজেট পাস হলে এসব জিনিসের দাম বাড়তে পারে। এগুলো হলো-

সিগারেট : সিগারেট ও তামাক পণ্যের শুল্ক বাড়ছে। তরল নিকোটিনের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব এসেছে। ই-সিগারেট ও ভেপোরাইজিং ডিভাইস ও এর যন্ত্রাংশ আমদানিতে ২১২ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গাড়ি : একাধিক গাড়ির ক্ষেত্রে সিসি বা কিলোওয়াটভিত্তিক পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছের অর্থমন্ত্রী। ফলে একাধিক গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে।

জমি : জমি নিবন্ধনে উৎসে কর বাড়ছে।

ভ্রমণ : বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে আনতে ভ্রমণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিমান ভ্রমণেও কর হার বাড়ছে।

কলম : বল পয়েন্ট কলমে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সফটওয়্যার : সফটওয়্যার ও কাস্টমাইজেশন সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে এই সেবার মূল্য বাড়তে পারে। বিদেশি কিছু সফটওয়্যারের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। অন্য ক্ষেত্রে হারটি ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে হারটি সব ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাটও বসবে।

এলপিজি সিলিন্ডার : এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির স্টিলের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশে তৈরি মোবাইল সেট : স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে শূন্য শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ, সংযোজন পর্যায়ে যথাক্রমে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রজ্ঞাপনের কিছু শর্ত যৌক্তিকীকরণ ও নতুন শর্ত সংযোজনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্লাস্টিক পণ্য : প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালী সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট সামগ্রীসহ যে কোনো পণ্যের (টিফিন বক্স ও পানির বোতল ব্যতীত) ভ্যাট ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

থালাবাসন : অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কিচেন বা অন্যান্য গৃহস্থালি তৈজসপত্র, স্যানিটারিওয়্যার এবং যন্ত্রাংশের মূসক হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব।

টিস্যু : কিচেন টাওয়েল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল বা পকেট টিস্যু, হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিকাল বেড শিটের ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খেজুর : খেজুরের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট ব্যাপকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে বাজেটে। শুকনা খেজুরের ওপর এখন ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক রয়েছে। তবে সাধারণ খেজুরের ওপর নেই। তাই দুই ক্ষেত্রেই ২৫ শতাংশ শুল্ক বসবে। সঙ্গে থাকবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, খেজুর কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়।

চশমা ও রোদচশমা : চশমার ফ্রেমের ওপর আমদানি শুল্ক এখন ৫ শতাংশ। তৈরি চশমার ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি রোধে ফ্রেমের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। রোদচশমা বা সানগ্লাসের (প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমযুক্ত) ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে আড়াই শতাংশ। নতুন হার সাড়ে ৭ শতাংশ।

বাসমতী চাল : সাধারণ বাসমতী চালে এখন ভ্যাট নেই। তবে ফর্টিফায়েড বাসমতী চালে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। ফাঁকি রোধে সাধারণ বাসমতী চালেও ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

কাজুবাদাম : বিদেশি কাজুবাদামের মোট কর হার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত কাজুবাদামকে সুরক্ষা দিতে এই উদ্যোগ।

আঠা : আঠা (অ্যাডহেসিড/গ্লু) আমদানিতে ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে বিদেশি আঠার দাম বাড়বে।

বাইসাইকেল : বাইসাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ৫ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারী বাইসাইকেলের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে

সিমেন্ট : সিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকারের আমদানি শুল্ক টনপ্রতি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য ক্লিংকারে শুল্ক একই হারে বেড়ে ৯৫০ টাকা হবে।

সাধারণ ইট : যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া তৈরি সাধারণ ইটে ভ্যাট (নন-রিফ্লেকটরি বিল্ডিং ব্রিকস) প্রতি হাজারে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটা ‘ফেসিংয়ে’ ব্যবহৃত ইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

বিদেশি লিফট : দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে লিফটের সরঞ্জামের আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদেশি লিফটের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হবে চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটর আমদানিতে।

বিদেশি স্যান্ডউইচ প্যানেল : স্যান্ডউইচ প্যানেল ভবনে ব্যবহার করা হয় তাপ ও শব্দপ্রতিরোধক হিসেবে। পণ্যটি মূলধনী যন্ত্রপাতি হিসেবে রেয়াতি সুবিধায় মাত্র ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে আমদানির সুযোগ রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পণ্যটি কোনো মূলধনী যন্ত্রপাতি নয়। দেশে এটি তৈরি হয়। তাই দেশীয় উৎপাদনে উৎসাহিত করতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদেশি সাবান : আমদানি করা সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের রেগুলেটরি ডিউটি ৩ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে বাজেটে। শুল্ক বাড়ছে আমদানি করা ফেসওয়াশেও।

ফল : প্রক্রিয়াজাত ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব ধরনের খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব এসেছে। আপেলের দামও বাড়তে পারে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony