গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা হিসেবে নাম লিখিয়েছে ইসরায়েলের প্রায় চার লাখ তরুণ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে কেন আমেরিকায় অবস্থান করছে—এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তরুণ যোদ্ধাদের মধ্যে।
ভারতীয় এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাড়ি জমিয়েছেন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর। যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই সম্প্রতি ৩২ বছর বয়সী ইয়াইরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে—মায়ামির সমুদ্র সৈকতে দারুণ সময় উপভোগ করছেন নেতানিয়াহুর পুত্র। এই ছবিই এখন ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে ইসরায়েলিদের মধ্যে। অনেকেই বলছেন—দেশের মানুষেরা যখন হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে বাড়ি ছেড়েছে, ইয়াইর তখন মায়ামিতে জীবনকে উপভোগ করছেন।
এই বিষয়ে ইসরায়েলের উত্তর অংশে সম্মুখ যোদ্ধাদের একজনের সঙ্গে কথা বলেছিল দ্য টাইমস। স্বেচ্ছাসেবী ওই যোদ্ধা বলেন, ‘আমি যখন সম্মুখ যুদ্ধে; ইয়াইর তখন মায়ামির বেলাভূমিতে তার জীবনকে উপভোগ করছে। আমরাই কাজ ছেড়ে, পরিবার ও সন্তানদের ছেড়ে দেশ ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য বাড়ি ছেড়ে এসেছি। এই পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তারা কিন্তু আসেনি।’
গাজা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে দায়িত্ব পালনরত আরেক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ‘যে রাজ্য থেকে আমি এসেছি সেখানে আমার চাকরি ছিল, আমার পরিবার আছে। জটিল এই সময়ে আমার দেশ ও মানুষদের বাদ দিয়ে সেখানে থেকে যাওয়ার মতো কোনো উপায় ছিল না আমার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কোথায়? তিনি ইসরায়েলে নেই কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে আদর্শ সময়। আমাদের প্রত্যেকের এখন এখানেই অবস্থান করা উচিত, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেরও।’
পেশায় পডকাস্টার ইয়াইর নেতানিয়াহুর তৃতীয় স্ত্রী সারার গর্ভে জন্ম নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ইয়াইর প্রায়ই বিতর্কের জন্ম দেন। ‘ইসরায়েল থেকে সব মুসলিমের চলে যাওয়া উচিত’—এমন মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৮ সালে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্লক করেছিল ফেসবুক। আরেক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘মানুষরূপী এই সব দানবদের সঙ্গে কখনোই শান্তি স্থাপন হবে না; ১৯৬৪ সাল থেকে যারা নিজেদের ফিলিস্তিনি বলে আসছে।’