গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও রাফাহ লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪৭ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থীশিবিরের একাধিক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় শিশু, নারীসহ অন্তত ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। গাজার উত্তরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১০টি মৃতদেহ।
এসব খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এবং কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা। রাফাহ ও খান ইউনিসে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে আজ রোববার সকালে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ বলেছেন, শনিবার দিবাগত রাত থেকে চলমান বিমান হামলায় খান ইউনিসের পূর্ব দিকের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে, বাসিন্দাদের শহরের পশ্চিম দিকে বা রাফাহ শহরে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি শুনে রাফাহ শহরের দিকে ছুটে গিয়ে বেসামরিক মানুষ ইসরায়েলি বিমান হামলার মুখে পড়েছে। এতে প্রমাণিত, গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
তিনি আরও বলেন, খান ইউনিসের এলাকায় শত শত বাসিন্দা এখনো আটকা পড়ে আছে। তাদের যাওয়ার জন্য নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। কারণ, শহরের অন্যান্য অংশে বা আরও দক্ষিণে যাওয়ার প্রধান রাস্তাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে নুসিরাত শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলায় হতাহতদের গাজার মধ্য প্রদেশের আল-আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াফা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শরণার্থীশিবিরে আসার ও জাকাউট পরিবারের বাসভবনে বোমাবর্ষণ করেছে, যার ফলে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার উত্তরে ইসরায়েলি হামলায় ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ১০টি মৃতদেহ বের করেছে।
এদিকে গাজায় চলমান সহিংসতায় নিহত দুই ইসরায়েলি সেনার পরিচয় জানিয়েছে আইডিএফ। তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল স্টাফ সার্জেন্ট আশচালউ সামা এবং সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস বা ব্র্যান্ডেস। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, সামা ১৪ নভেম্বর আহত হন এবং শনিবার মারা যান। গতকাল শনিবার যুদ্ধে নিহত হন ব্র্যান্ডেস।