1. meghnaonline24@gmail.com : দৈনিক মেঘনা :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতে ধর্ষকদের ডি এন এ পরীক্ষা

রির্পোটারের নাম:
  • Update Time : শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ১৭১ ০০০

টঙ্গী (গাজীপুর)প্রতিনিধি
টঙ্গীতে একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষনের শিকার এক কিশোরী কন্য সস্তানের মা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নবজাতক ও ধর্ষন মামলায় জেলে থাকা অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ (২৮) ও ও লিটন মিয়া (১৭) ডি এন এ পরীক্ষার নমুনা দেওয়া হয়। বিয়য় টি গতকার শুক্রবার স্বীকার করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টঙ্গী পশ্চিম থানার এস আই সজল হোসেন।
মামলার সুত্রে জানা যায়, টঙ্গীর একটি মাদ্রাসায় ২১জুন ২০০৩ইং মামুনুর রশিদ কর্তৃক ধর্ষিত হয় অভিযুক্ত ভুক্তভোগী। পরে ভয়ভিতী দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে একই মাদ্রাসায় ভুক্ত ভোগীকে ধর্ষন করে অভিযুক্ত। সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর ভুক্তভোগীকে ধর্ষন করেন তিনি।
অপর দিকে বগুড়া জেলার শওরদীঘির পশ্চিম পাড়ার লিটন মিয়া একই বাড়িতে বসবাসের সুযোগে প্রায় ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত ও রাস্তা ঘাটে উত্যক্ত করত। গত ১৬ জুনে ২০০৩ইং পরিবারের লোকজনের অনুপস্থিতিতে লিটন মিয়া ভুক্ত ভোগীকে ধর্ষন করে। এরপর ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে একই বাসায় ধর্ষন করেন তিনি।
একাধিকবার ধর্ষনের শিকার হয়ে কিশোরী অন্ত:স্তÍতা হয়ে পড়ে। বিষয়টি তার মা জানতে পেরে ২৬ নভেম্বর ২০০৩ইং টঙ্গী পশ্চিম থানায় দুইটি পৃথক অভিযোগ দেন। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ ও লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর জেল হাজতে এবং ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে পুলিশ। পরীক্ষায় জানা যায়, কিশোরীর গর্ভে ২৪ সপ্তাহ বয়সী একটি সস্তান রয়েছে। পরে এ বছরের ১৯এপ্রিল টঙ্গীর একটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ভুক্তভোগী কন্যসন্তানের মা হন।
বর্তমানে অভিযুক্তরা জেলহাজতে থাকায় এবং পিতৃপরিচয় অস্বীকার করায় নবজাতক সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীর প্রসবকৃত কন্যসন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিতের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সজল হোসেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর পর গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত মামুনুর রশিদ ও লিটন মিয়া ও নবজাতককে মালিবাগ সি আই ডি ভবনে নমুনা দেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ।
কিশোরীর মা বলেন, আমি আমার মেয়ের ধর্ষনের বিচার চাই । কিশোরীর বাবা বলেন, নবজাতকের বাবা যে হবেন তাকে সে নিয়ে যাবে। আমি আমার মেয়ের জীবন যারা নষ্ট করেছে তাদের বিচার চাই।
এ ব্যপারে টঙ্গী থানার অফিসার ইন চার্জ সাখাওয়াত হোসেন বলেন,পিতৃ পরিচয় নিশ্চিতের জন্য অভিযুক্তদ্বয় ও নবজাতকের ডি এন এর নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে।ফলাফল নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

বিস্তারিত জানতে এসএমএস/ফোন করুন 👇

বিস্তারিত জানতে ছবিতে 👇 ক্লিক করে–ফেসবুকে এসএমএস করুন 👇

© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY IT Rony