ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে উঠেছে স্পেন। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে স্বাগতিক জার্মানিকে হারিয়েই বিশেষ কিছুর আভাস দিয়েছিল স্পেন। সেরা চারে থেকে এবার দূর্দান্তভাবে সেরা দুইয়ে উঠলো দলটি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন ম্যাচের নয় মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ২১ মিনিটে সমতায় ফেরা, আবার চার মিনিটের ব্যবধানে লিড নেয় স্পেন। শেষ পর্যন্ত এই স্কোর নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি, তবে একদল হাঁসি নিয়ে আরেকদল অশ্রুসিক্ত নয়নে।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে হেড দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সের রাঁদাল কোলো মুয়ানি।
এরপর ফ্রান্সকে চেপে ধরে ১২ মিনিট পরই সমতায় ফেরে স্পেন। অসাধারণ লামিন ইয়ামালের সিগনেচার শটে গোল আদায় করেন লামিন। স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোনের লং পাস মাঝমাঠে থেকে ধরে লামিনকে সামনে পাস বাড়ান আলভারো মোরাতা। বক্সের বাইরে ফ্রান্সের একগাদা খেলোয়াড় সামনে রেখে মাঝামাঝি অবস্থান থেকে গোলে শট নেন তিনি। বাঁকানো সেই শট জাদুর মতে বাঁ পোস্ট ছুঁয়ে এবং ওপরের পোস্টের কোণা দিয়ে ঠিকানায় পৌঁছে যায়।
এর চার মিনিট পরই দানি অলমোর দুর্দান্ত এক শটে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন। হেসুস নাভাসের বক্সে মধ্যে দেওয়া ক্রস ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা ফিরিয়ে দিলে তা বক্সের সামান্য বাইরে পেয়ে যান অলমো। সেখান থেকে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে দারুণ এক ড্রিবলিংয়ে পরাস্ত করে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে ৬ গজ বক্সের বাইরে ডান পাশ থেকে দূরের পোস্টে জোরালো শট নেন দানি অলমো। শটটি ক্লিয়ার করার আগেই জুল কুন্দের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। শুরুতে তা কুন্দের আত্মঘাতী গোল হিসেবে গণনা করা হলেও পরে শটটির গতি ও অলমোর কীর্তি বিবেচনায় দানির নামের পাশেই গোলটি যুক্ত করে ভিএআর।